মোহাম্মাদ মুনুর রশিদ ,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে মামুন হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয়। সন্ত্রাসীরা ফেরার পথে ৯০টি দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করেন। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লারমা স্কয়ারে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ চলাকালে একদল পাহাড়ি যুবক লাঠিসোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শিক্ষার্থীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ঘন্টা খানেক ধাওয়া-পাল্টা চলে। এ সময় পাহাড়িদের পক্ষ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পাহাড়িরা লারমা স্কয়ার এলাকায় অবস্থিত দোকাপাটে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় অর্ধ শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনা বিকৃত করে স্যোশাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
দীঘিনালা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, কিভাবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলতে পারছি না। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি কাজ করছে। আগুন নেভানো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।