শান্তি আলোচনার ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন সন্ত্রাসীরা অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ তারা যে উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করেছে সেটিকে সমন্বিতভাবে যৌথবাহিনী পরিচালনা মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সেনাজোনের প্যারেড গ্রাউন্ডে সাংবাদিকদেরকে এসব কথা জানান তিনি।
এর আগে সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে করেন। পরে তিনি রিজিয়নের সেনা সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় অভিযানে সর্বদাই প্রস্তুত থাকার জন্য সেনাসদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পাহাড়ে অভিযানের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণের নিরাপত্তার ও সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য যা যা করণীয় আছে সেটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সেনাবাহিনীর সক্ষম ও সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল রাতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযানে পরিচালনা সক্ষম হয়েছে এবং সে অভিযানে দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেই অস্ত্র কাদের সেটি এখনো সনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের আস্তানা কোথায় আছে সেটি খুঁজে বের করা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রচেষ্টা মাধ্যমে পাহাড়ে অভিযান চলমান রয়েছে।
সেনাপ্রধান আরো বলেন, শুরুতেই কিছুটা বিশ্বাস ছিল যে শান্তির আলোচনা মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু আলোচনর মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীরা আবার অশান্তি শুরু করে দিয়েছে। যেটি বাংলাদেশের জন্য বড় একটি হুমকি। তাই এই সসন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নির্মূল করতে যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সেটি নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে কোন জায়গা নেই।